1. news@www.daynight24new.online : উৎসবের আলো : উৎসবের আলো
  2. info@www.daynight24new.online : DAY NIGHT 24NEW :
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
মানব কল্যাণে কাজ করছে বাংলাদেশ দুর্নীতি প্রতিরোধ পরিষদ : ডা: মোঃ বদরুল আমিন বাংলাদেশ দুর্নীতি প্রতিরোধ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিমের চাচাতো বোনের ইন্তেকাল : দাফন সম্পন্ন অচেনা দু’জন মানুষ,একইরকম দেখতে! অভিনব কায়দায় কাঁটাতার ভেদ করে মাদক আনার ভিডিও ফেইসবুকে দিলেন মাদক কারবারি জীবন মিয়া! জাইদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা : বিচারের দাবিতে বড়লেখায় ছাত্রদলের মানববন্ধন নিখোঁজ সংবাদ : বড়লেখার আব্দুর রহমানের সন্ধান চায় পরিবার তুচ্ছ কারনে ৫ শিক্ষককে শোকজ করে বিপাকে এটিও, বেড়িয়ে আসছে তার আরো দুর্নীতি! অসুস্থ রুগীদের খোঁজ নিতে ওসমানী হাসপাতালে বাংলাদেশ দুর্নীতি প্রতিরোধ পরিষদ’র নেতৃবৃন্দ সংখ্যা ধারা গাজায় ইসরায়েল গণহত্যার প্রতিবাদে সিলেটে ইসলামী আন্দোলন’র বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত

মাধবপুরে জামাত সমর্থিত সন্দেহে শিক্ষককে হয়রানি করেছিলেন সেই আওয়ামীপন্থী ইউএনও ফয়সাল! 

উৎসবের আলো
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

সাদাত মামুন,মাধবপুর(হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুরে জামাতে ইসলামীর সমর্থক সন্দেহে এক প্রধান শিক্ষককে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি বদলি হওয়া ইউএনও একেএম ফয়সালের বিরুদ্ধে।এসব বিষয়ে এবার কিছুটা মুখ খুলেছেন ওই শিক্ষক।ক্ষুদ্ধ ওই শিক্ষকের নাম আখতারুল আলম দুলাল। তিনি উপজেলার মাধবপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুলের প্রধান শিক্ষক।এছাড়া ফয়সালের বিরুদ্ধে মাধবপুর উপজেলার কতিপয় আওয়ামীলীগ নেতাদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করতেন বলে তাকে আওয়ামীপন্থী ইউএনও বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া ওই ইউএনওর বিরুদ্ধে তৎকালীন আওয়ামীলীগের ক্ষমতা ব্যবহার করে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টিও জনসম্মুখে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

জানা যায়,বিগত ২০২৩ সালের বঙ্গবন্ধুর শোক দিবস ১৫ অগাস্টের উপলক্ষ্যে উপজেলার মীরনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে অসুস্থতার কারনে শিক্ষা অফিসকে অবগত করে ছুটিতে ছিলেন ওই শিক্ষক।কিন্তু তার এই অনুপস্থিতিকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে জামাতে ইসলামীর সমর্থক তোতমা প্রদান করেন ইউএনও ফয়সাল।সে উপজেলার মীরনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানকে বর্তমানে যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাশকতার মামলায় কারাগারে তাকে দিয়ে অভিযোগ করিয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নামে নানা হয়রানি করেন।কয়েকজন কর্মকর্তা এটির সঠিক প্রতিবেদন দিলেও তা ফয়সালের মন মতন হচ্ছিল না। এরপরও ওই ইউএনও বারবার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করতে থাকেন। তৎকালীন মাধবপুর সদরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.ইশতিয়াক মামুনও এর প্রতিবাদ জানান।ডা.মামুন ওই শিক্ষকের ছুটির নিমিত্তে মেডিকেলের কাগজপত্র সঠিক আছে জানালেও ইউএনও পুনরায় তা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আশরাফ আলীকে তদন্ত প্রদান করে।উদ্দেশ্য এই জামাত তুতমা দিয়ে শিক্ষককে অপমান করতেই হবে।সে ফয়সলের নির্দেশে নানাভাবে হয়রানিও করে।পরে সমাজসেবা কর্মকর্তা আশরাফ আলী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তুপের মুখে কর্মস্থল থেকে পালিয়ে যান।ফয়সাল নিয়ম বহির্ভূতভাবে শিক্ষা অফিসের এক কর্মকর্তাকেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মৌখিক নির্দেশনা দেন বলেও জানা যায়।

যদিও শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান।তারা নিয়ম বহির্ভূত কিছু করতে রাজি হননি।শুধু তাই নয় ফয়সালের স্ত্রীও প্রাইমারি শিক্ষকের উপর  খবরদারি করতো।হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত পিআইও অফিসের টির প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকাও হাতিয়ে নিয়েছিলেন তার নেতৃত্বের লেডিস ক্লাবে।উপজেলা প্রশাসনের নারী কর্মকর্তাদের নিজের ব্যক্তিগত কর্মচারী বানিয়েছিলেন ওই ইউএনও পত্নী।

এ ব্যাপারে জানতে ওই প্রধান শিক্ষক আক্তারুল আলম দুলালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আসলে আমি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাই না।সেই ২০২৩ সালের ১৫ ই আগস্টে সত্যি সত্যি আমি অসুস্থ ছিলাম। সেজন্য অনুষ্ঠানে যেতে পারি নি।মূলত আমি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নই।কোন সরকারি কর্মকর্তা রাজনীতি করতে পারে না।

এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে একেএম ফয়সালকে একাধিক ফোন ও মেসেজ দেয়া হলেও তিনি কোন উত্তর দেননি।

প্রসঙ্গত,৫ অগাস্ট ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সে তার প্রশাসনকে ছাত্রদের উপর চড়াও হতে নির্দেশনা দেন।ফলে মাধবপুর উপজেলায় অনেক ছাত্র আহত হন।

সে জন্যেই পরবর্তীতে ৫ অগাস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা ফয়সালের সরকারি কোয়ার্টার ওসরকারি গাড়ির ব্যাপক ভাংচুর করে।কিছুদিন সে পালিয়ে বেড়ায়।পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির নানা অভিযোগ ও আওয়ামীপন্থীতার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে জাতীয় উন্নয়ন কর্তৃপক্ষতে বদলি করা হয়।কিন্তু বিভাগীয় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

সে নিজেকে মুক্তিযুদ্ধার সন্তান পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময়ে  মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড অফিসের মুক্তিযোদ্ধা এনাম ও মুক্তিযোদ্ধা জারু মিয়াকে দিয়ে নানা অপকর্ম করাতো।এদের যোগসাজসে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাংক হিসাবের টাকা আত্মসাৎ হতো।এসব দেখেও দেখতো না ফয়সাল। জানা যায় এদের কাছ থেকে গ্রহণ করতে কমিশনও।এসব তদন্তে লোক দেখানো কমিটি করলেও বিচার করেনি।আওয়ামীলীগের ক্ষমতা ব্যবহার করে ২০২৩ সালের পাবলিক পরীক্ষা কেন্দ্রের ৭ লক্ষ টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।এ নিয়ে নানা সময় তদন্ত কমিটি হলেও তদবিরের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে সে এসব থামিয়ে দেয়।উপজেলার একটি দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে কেন্দ্রসচিব সিদ্দিকুর রহমান নকলের ছিল বাণিজ্যের হুতা মোটা অংকের কমিশন নিত সে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা এ নিয়ে মানববন্ধন করলে সিদ্দিকুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পায়তারা করলে উল্টো ফয়সালের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে সিদ্দিক।

সম্প্রতি পত্র-পত্রিকায় তার অনিয়ম-দূর্নীতির বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ হয়।স্থানীয়রা এসবের সঠিক তদন্ত ও বিচারের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।একেএম ফয়সাল বর্তমানে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রশাসন ও অর্থ অনুবিভাগে উপ-পরিচালক পদে কর্মরত রয়েছেন।

এসব বিষয়ে মতামত জানতে যোগাযোগ করা হলে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রশাসন ও অর্থ বিভাগের সদস্য ও যুগ্ম সচিব মোঃ জহুর আলী জানান,বিষয়গুলো যদি সত্য হয়ে থাকে তবে দুঃখজনক। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে। আমরাও খোঁজখবর নিয়ে দেখবো।

ছবি :সদ্য বদলিকৃত ইউএনও ও জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক একেএম ফয়সাল।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত