1. news@www.daynight24new.online : উৎসবের আলো : উৎসবের আলো
  2. info@www.daynight24new.online : DAY NIGHT 24NEW :
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
মানব কল্যাণে কাজ করছে বাংলাদেশ দুর্নীতি প্রতিরোধ পরিষদ : ডা: মোঃ বদরুল আমিন বাংলাদেশ দুর্নীতি প্রতিরোধ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিমের চাচাতো বোনের ইন্তেকাল : দাফন সম্পন্ন অচেনা দু’জন মানুষ,একইরকম দেখতে! অভিনব কায়দায় কাঁটাতার ভেদ করে মাদক আনার ভিডিও ফেইসবুকে দিলেন মাদক কারবারি জীবন মিয়া! জাইদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা : বিচারের দাবিতে বড়লেখায় ছাত্রদলের মানববন্ধন নিখোঁজ সংবাদ : বড়লেখার আব্দুর রহমানের সন্ধান চায় পরিবার তুচ্ছ কারনে ৫ শিক্ষককে শোকজ করে বিপাকে এটিও, বেড়িয়ে আসছে তার আরো দুর্নীতি! অসুস্থ রুগীদের খোঁজ নিতে ওসমানী হাসপাতালে বাংলাদেশ দুর্নীতি প্রতিরোধ পরিষদ’র নেতৃবৃন্দ সংখ্যা ধারা গাজায় ইসরায়েল গণহত্যার প্রতিবাদে সিলেটে ইসলামী আন্দোলন’র বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত

মাধবপুরে নিশানে আমানত রাখা নিয়ে নানা প্রশ্ন!

উৎসবের আলো
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

চাঁদ সুলতানা চৌধুরী,হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : মাধবপুরে নিশানে আমানত রাখা নিয়ে নানা প্রশ্ন।
মাধবপুর( হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুদিনের সঞ্চয় দুর্দিনের বন্ধু।তাই টাকা জমানোর প্রবণতা সবার মধ্যে আছে।সাধারণত টাকা জমা বা আমানত রাখার সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্টান হলো ব্যাংক,বীমা বা ডাকঘর। কিন্তু ব্যক্তি জনগনের টাকা আমানত হিসেবে রাখতে পারে কিন। এ প্রশ্ন এখন সবার সবার মুখে মুখে। শুধু একদিনে নয় বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের পুরো আমলে হবিগঞ্জে মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া নিশান নামে একটি সমবায় সমিতি জনগনকে প্রতি লাখে মাসে মাসে মুনাফার অফার দিয়ে কয়েকশ কোটি আমানত হিসেবে নিয়ে গেছে।স্বল্প আয়ের মানুষ থেকে শুরু ধনীব্যক্তিরা প্রতিজন এক লাখ থেকে ৮০ লাখ টাকা করে জমা করেছে।এই সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ৩ হাজার। এখন সুদাসল ফেরত চাইতে গিয়ে বেধেছে বিপত্তি। গত ৩ দিন ধরে তেলিয়াপাড়া নিশান অফিসে টাকা ফেরতের জন্য আহাজারি করছেন।স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিতে নিশানের লোকজনদের সাথে কথা বলেছে।কিন্তু বিগত ১৫ বছর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া কিভাবে কোটি কোটি টাকা আমানত নিয়েছেন।নিশান ২০০৭ সালে নিশান পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সংস্থা নাম দিয়ে তারা ক্ষুদ্র ঋন কার্যক্রম শুরু করেন।পরে মাধবপুর সমাজসেবা নজরে আসলে তারা কাজ ঋন বিতরন করে দেয়।পরে নিশান স্বাস্থ্য পরিবেশ সমবায় সমিতি মাধবপুর থেকে অনুমতি নিয়ে সারা সিলেট জুড়ে ঋন বিতরন কার্যক্রম শুরু করেন।বর্তমানে সিলেটের সব বাগান এলাকায় নিশানের ২৮ টি শাখা আছে।কিন্তু নিশান ঋন বিতরনের বাইরে গিয়ে মানুষের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ শুরু করেন।যারা বিভিন্ন শিল্প কারখানায় জমি বিক্রি করেছেন তাদের লোভের ফাঁদে কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন।নিশানের পরিচালনা পর্ষদ ছিল পরিবার কেন্দিক। মঈন উদ্দিন বেলাল,তার স্ত্রী আমেনা বেগম,দুই ছেলে সালমান, সায়েম শ্যালক জালাল উদ্দিন, মাসুদ মিলে আমানত সংগ্রহ করেন।ব্যাংক,বীমা ও ডাকঘর এবং বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত কোন সরকারি আর্থিক প্রতিষ্টান ছাড়া আমানত সংগ্রহ করতে পারেনা।কিন্তু নিশান গত ১৫ বছর কিভাবে এত টাকা আমানত নিয়েছে।নিশানের বর্তমান চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন স্বীকার করেছেন তারা দেড়শ কোটি টাকা আমানত নিযেছে।সরকারি ব্যাংক বীমায় টাকা জমা রাখলে সরকারও কিছু রাজস্ব পেত এবং টাকা গচ্ছা যাওয়ার কোন সম্ভবতা ছিলনা।অভিযোগ রয়েছে মাধবপুরে সমবায় কর্মকর্তারা এসব অনিয়মের অংশীদার। কারন তারা বাধা দিলে আমানত সংগ্রহ করতে পারতনা।তাপস বড়ুয়া নামে তৎকালীন সমাজ কর্মকর্তার প্রশ্রয়ে বেশি সাহস পেয়েছে।তার সাথে নিশানের দহরমমহরম বেশি ছিল।এছাড়া আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে হবিগঞ্জ সদরের তৎকালীন এমপি আবু জাহিরের মধুর সম্পর্ক ছিল।তার ভয়ে প্রশাসন ছিল তটস্থ। এ কারনে নিশানের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিতে চাইলে মাঝ পথে থেমে যেতেন।নিশানের পুরো পারিবারিক পরিচালক ঘনঘন এমপি জাহিরের বাসায় খোশগল্পে মেতে থাকতেন।এসব ছবি আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সগৌরবে পোষ্ট করা হত।মানষের আস্তা ও প্রশাসনকে ভয় এবং চাপে রাখতে তারা কৌশলী কাজটি করতেন।সাধারণ মানুষ তাদের বেশভূষা ও সরকার দলীয় এমপির সাথে চলাফেরা দেখে মনে করতেন নিশান একটি বৈধ প্রতিষ্টান। কিন্তু ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর তাদের শুভাকাঙ্ক্ষী এমপি জাহির গোপনে বিদেশ পালিয়ে যায়।এরপর থেকে তারা ভীষণ চিন্তার মধ্যে পড়েন।এখন আমানতকারিরা একযোগে নিশানের কাছে সুদাসল ফেরত চাইলে গোমর ফাঁস হয়।নিশান আামানত নেওয়ার কোন সরকারি বৈধতা ছিলনা।অনেক আমানতকারি মোটা অংকের টাকা জমা করেছে কিন্তু আইনী জঠিলতার কারনে প্রকাশ করতে রাজি নয়।দুদকের বেড়াজালে পড়ে কিনা।মাধবপুর সমবায় কর্মকর্তারা মিজানুর রশিদ জানান,নিশান আমানত সংগ্রহ করে জানার পর আমরা সাধারণ মানুষকে অবগত করেছি নিশানে যেন কেউ আমানত জমা না রাখে। এরপরও লোভে পড়ে অনেক লোক টাকা জমা করেছে।মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী জাহিদ বিন কাসিম বলেন,বিগত সময়ে কিভাবে কি হয়েছে আমার জানা নেই।আমানতকারিদের টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।আমরা চেষ্টা করছি সাধারণ মানুষের জমা টাকা কিভাব ফেরত দেওয়া যায়।নিশান আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে থাকলে সরকার ব্যবস্থা নিবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত