স্টাফ রিপোর্টার,মাধবপুর থেকে : তারেক রহনান কর্তৃক ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি সাধারণ মানুষের মধ্যে পৌঁছে দিতে হবে-সৈয়দ মোঃ ফয়সল
বিএনপি থেকে মনোনয়ন চায়-তৃর্নমুলের নেতাকর্মীরা
হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সফল সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ সৈয়দ মোঃ ফয়সল বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে দিতে হবে। বিএনপি বাংলাদেশের বৃহৎ ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। বিগত ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা দল এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারকে ধবংস করার জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে। কিন্তু মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের প্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সর্বোচ্চ সম্মানীত করেছেন অথচ ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা রান্না করা খাবার খেয়ে যেতে পারেনি।
৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও তার দোসরা এদেশেই রয়ে গেছে। তাদের মাধ্যমে দেশের বিরুদ্ধে যড়ষন্ত্র করে যাচ্ছে। তাই আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের চক্রান্ত মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি মঙ্গলবার মাধবপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির এবং অঙ্গ সংগঠনের এক বিশাল কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন।
সভায় তৃর্ণ মুলের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন-আলহাজ¦ সৈয়দ মোঃ ফয়সল ও তাঁর পরিবার সুদীর্ঘকাল ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। রাজনীতি করতে গিযে তার পরিবারের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। শহীদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানকে মহান স্বাধীনতার ঘোষক বলার কারনে রাষ্ট্রদ্রোহসহ একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হয়েছে এবং বাড়ীতে বোমা হামলা করা হয়েছে। শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আলহাজ¦ সৈয়দ মোঃ ফয়সল ও তাঁর পরিবার মাধবপুর চুনারুঘাট তথা হবিগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। যখন মাধবপুর চুনারুঘাটে বিএনপির পাশে দাঁড়াবার কোন নিরাপদ জাযগা ছিল না তখন উনারা নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্টানের ঝুঁকি নিয়ে বিএনপির সভা-সমাবেশ এবং সকল ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ মাধবপুর-চুনারুঘাট আসনে বিএনপির মনোনয়ন আনার জন্য সৈয়দ মোঃ ফয়সলের কাছে জোর দাবি জানান।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি সামসুল ইসলাম কামালের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ মোঃ শাহজাহান, সায়হাম টেক্সটাইল মিলস্’র চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, চুনারুঘাট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ লিয়াকত হাসান, পৌর বিএনপির সভাপতি গোলাপ খান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আল রনি, চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক সহকারি অধ্যাপক মোজাম্মেল হক তালুকদার, বিএনপি নেতা চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ, চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারম্যান মীর খুরশেদ আলম, সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক, সাবেক চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম মামুন, তাজউদ্দিন টেনু, বিএনপি নেতা মাসুকুর রহমান, হাজী অলিউল্লাহ, আলফাজ মিয়া, আবুল বাশার, হাজী ফিরোজ, সুমন চৌধুরী, মোস্তফা কামাল বাবুল, যুবদলের আহবায়ক এনায়েতউল্লা, যুগ্ম আহবায়ক কবির চৌধুরী, পৌর যুগ্ম আহবায়ক এমদাদুল হক সুজন, কৃষক দলের আহবায়ক মুখলেছুর রহমান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ফরিদুর রহমান, পৌর আহবায়ক আলমগীর কবিরসহ ইউনিয়নের সভাপতি/সাধারন সম্পাদক।